banner image

TREK TO TUNGANATH AND DEORIA TAAL IN BENGALI



     সাদা বরফে ঢাকা পাহাড়টা ঠিক যেন একটা ভ্যানিলা আইসক্রিম এর কোন, আর ওই সাদা বরফের মধ্যে এক টুকরো চকোলেট নাট এর মতো মন্দির টাকে দেখে 'আমরা' আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠলাম।
                  
     'আমরা', মানে আমি আর আমার তিন কলীগের মাথায় হটাৎ ট্রেক করার বাই উঠলো। চারজনেই এই বিষয়টায় পুরো আনকোরা তাই বিভিন্ন পত্রিকা আর নেট ঘেটে তুঙ্গনাথ , চন্দ্রাশিলা যাওয়ার প্ল্যান করলাম। সময়টা বাছা হলো এপ্রিলের শেষদিকে, উদ্দেশ্য ট্রেকের পাশাপাশি পাহাড়ে রোডোডেনড্রন এর ফুলব্লুম প্রত্যক্ষ করা।
   নির্ধারিত দিনে কলকাতা থেকে পাড়ি দিলাম হারিদ্বারে। হারিদ্বার পৌঁছানোর পরের দিন আমাদের চোপতা যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল কারণ তুঙ্গনাথের ট্রেক শুরু হয় চোপতা থেকেই। কিন্তু বিধি বাম। একটা বিশেষ কারনে আমাদের সেদিন যাত্রা শুরু করতে বেশ দেরি হয়ে গেল। হৃষিকেশ থেকে একটা প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে যাত্রা শুরু করলাম। বিকেল পাঁচটা নাগাদ এসে পৌছলাম পবিত্র দেবপ্রয়াগ এ। সঙ্গমটা ঠিক Y আকৃতির, যার একটা বাহু পান্নাসবুজ জলের ভাগীরথী এবং অপর বাহু ধূসর বর্ণের আলোকনন্দা, পরস্পরের সাথে মিশে গঙ্গা নাম নিয়ে দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়েছে।

দেবপ্রয়াগ




     এরপর একে একে শ্রীনগর(উত্তরাখন্ড), রুদ্রপ্রয়াগ (আলোকনন্দা ও মন্দাকিনির সঙ্গম) পেরিয়ে উখিমঠ পৌঁছতে রাত সাড়ে আটটা বেজে গেল এবং রাতটা সেইখানেই কাটানোর মনস্থির করলাম। 
  
    হাতে একটা অতিরিক্ত দিন থাকায় পরের দিন দেওরিয়া তাল ট্রেক করে ওয়ার্মআপ করে নেওয়াটা সমীচীন বলে মনে করলাম। সেইমতো সকাল সকাল তৈরি হয়ে হোটেল এর বাইরে বেরিয়েই চক্ষু একেবারে ছানাবড়া। আগেররাতে অন্ধকারের জন্য বোঝা যায়নি, সকালের আলোয় দেখলাম আমাদের বামপাশের পাহাড়ের গায়ে একগুচ্ছ ছোটছোট বাড়িঘর নিয়ে দাড়িয়ে আছে গুপ্তাকাশি টাউন , ডানপাশে পাহাড়টা সিঁড়ির আদলে কাটা আর প্রতিটা ধাপ এ মাথা তুলেছে কচি সবুজ রঙের না জানি কতরকম এর ফসল, এবং ঠিক সামনে গর্বে নিজের শ্বেতশুভ্র শির উঁচু করে আমাদের গুড মর্নিং জানাচ্ছেন মাউন্ট কেদারনাথ। ভাবতে অবাক লাগে, যখনই সুযোগ পাই ছুটে যাই হিমালয় পানে তবুও প্রতিবারি তার রূপ দেখে ঠিক প্রথমবার দেখার মতো অবাক আর মুগ্ধ হই।



মাউন্ট কেদারনাথ, উখিমঠ থেকে



     উখিমঠ থেকে একঘন্টা মোটর পথ অতিক্রম করে পৌছলাম দেওরিয়া তাল ট্রেকের বাসেক্যাম্প, ছবির মতো সুন্দর সারি গ্রাম এ। প্রবেশপথ থেকে লেক পর্যন্ত প্রায় ২ কিমি দীর্ঘ ট্রেক ট্রেলটা বাঁধানো এবং খুব ভালো করে চিহ্নিত তাই আর গাইড নিলাম না। পথটা শুরু থেকেই চড়াই, আর সেই চড়াই ভাঙতে ভাঙতে একে একে ছাড়িয়ে চল্লাম গ্রামের কিছু বাড়িঘর , একটা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সবশেষে কেদার মডেল এ তৈরি একটা মন্দির পেরোতেই পথের দুপাশের জনবসতির চিহ্ন লোপ পেলো আর আমাদের সঙ্গ নিলো বিক্ষিপ্ত কিছু জঙ্গল এবং ঝিঁঝি পোকার আদিম ডাক। একটা উচ্চতায় এসে দেখা পেলাম রোডোডেনড্রন এর বনের। পুরো গাছ লাল ফুলে ভরে আছে। একটু বিশ্রাম আর ফোটোসেশন করে আবার এগিয়ে চল্লাম। এক সময়ে পথ এসে মিশল একটা সবুজ মাঠের সামনে আর ঠিক ঐমাঠের মাঝে উঁকি দিলো চারিদিকে সবুজ বনে ঘেরা দেওরিয়াতাল ,সমুদ্র সমতল থেকে যার উচ্চতা প্রায় আট হাজার ফুট। আকাশ মেঘলা ছিল, নাহলে এই লেকের স্থির জলে চৌখাম্বা সহ আরও অনেক শৃঙ্গের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়।



দেওরিয়া তাল



     কিছুক্ষণ ওই মাঠে শুয়ে , ফটোসেশন করে লেকের চারপাশের ওই জঙ্গল ঘেরা পথ ধরে ওটাকে প্রদক্ষিণ করা শুরু করলাম। আমাদের ঘোরা শেষ হতে না হতেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলো সাথে কানফাটানো শব্দে বজ্রপাত। কোনোমতে সবাই ওখানকার ফরেস্টগার্ড এর একমাত্র ছোট ঘরটায় গিয়ে আশ্রয় নিলাম। যখন যাত্রা শুরু করেছিলাম বেশ গরম লাগছিলো তাই ঠান্ডার সব পোশাক নীচে সারি গ্রাম এ আমাদের গাড়িতেই রেখে এসেছিলাম, তার মাশুল এবার গুনতে হলো। বৃষ্টির সাথে শুরু হলো কনকনে ঠান্ডা হওয়া এবং ভয়ানক শিলাবৃষ্টি। মুহূর্তের মধ্যে আবহাওয়া পাল্টে গেল আর আমরা ঠক ঠক করে কাঁপতে লাগলাম। প্রায় টানা চার ঘণ্টা এইভাবে বৃষ্টি চললো। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো,  বৃষ্টিটা একটু কমায় একটু রিস্ক নিয়ে নিচে নামটাই উচিত মনে করলাম কারণ আলো কমে আসছিল আমাদের কাছে একটা টর্চ ও ছিল না, আর রাতের অন্ধকারে ওই জঙ্গলে ঘেরা পথে নামা বিপজ্জনক। শুধু নামার আগে একবার পেছনফিরে চেয়ে দেখলাম ওদিকের আকাশটা পুরো পরিষ্কার আর সেখানে দেখাদিল চৌখাম্বা, সাদা ধবধবে শৃঙ্গটা বিকেলের পড়ন্ত রোদে মাখামাখি হয়ে আমাদের পলায়ন দেখছে আর মিট মিট করে হাসছে। কোনোমতে দৌড়ে আধঘন্টার থেকে কিছু বেশি সময় নিয়ে সারি গ্রামে নামলাম আর বৃষ্টি মাথায় নিয়ে চোপতা পাড়ি দিলাম।


মাউন্ট চৌখাম্বা


     ঝম ঝম করে বাইরে বৃষ্টি পড়ছে। গাড়ির ভেতর থেকে সামনের ভিসিবিলিটি চার মিটারের বেশি হবেনা, তাই রমেশজি, আমাদের ড্রাইভার চোপতার কিছু আগে পতিভাষা বলে একটা জায়গায় গাড়ি দার করালেন এবং একটা হোটেলের সাথে দরদাম ঠিক করে ওই রাতটা ওখানেই থেকে গেলাম।

     পরেরদিন সকালে উঠে দেখি আবহাওয়া পুরো ইউ টার্ন নিয়ে নিয়েছে। সারা রাত মুষলধারে বৃষ্টির পর সকালে একদম খটখটে রোদ আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে কনকনে ঠান্ডা। চটপট ব্রেকফাস্ট করে চোপতার জন্য বেরিয়ে পড়লাম। যাওয়ার পথে গাড়ি থেকে রোডোডেনড্রন এর বাহার দেখলাম। পুরো উপত্যকা জুড়ে পাহাড়ের কোনো অংশ লাল তো কোনো অংশ গোলাপি, পাহাড়গুলো যেন চুটিয়ে রং খেলছে। 

রোডোডেনড্রোন এর বাহার


     তুঙ্গানাথ যেতে হলে চোপতার প্রবেশদ্বার থেকে বন বিভাগের পারমিট আদায় করতে হয়, আমরা আগের দিন দেওরিয়া তাল এ একটা পারমিট করিয়েছিলাম, যেটা অনুমতিপত্র করানোর পরবর্তী তিনদিন পর্যন্ত এখানেও বৈধ তাই আর আলাদা পারমিট করানোর প্রয়োজন হলো না। দেওরিয়া তালের মতো এখানকার ট্রেক ট্রেলটাও বাঁধানো ও স্পষ্ট চিহ্নিত তাই এখানেও গাইড নেওয়ার প্রয়োজন হলো না।


তুঙ্গনাথ যাওয়ার পথে



     চোপতা কে মিনি সুইজারল্যান্ড বলা হয় যেটা মোটেও অত্যুক্তি নয়। পাহাড়, অরণ্য, বুগিয়াল ঘেরা চোপতা উত্তরাখন্ড তথা ভারতের এক অন্যতম সুন্দর শৈলশহর। মূল প্রবেশদ্বার পেরিয়ে ওই বাঁধানো পথ ধরে দুলকি চালে আমরা হাটা শুরু করলাম। এখানটায় গাছপালা বেশ বেশী হওয়ায় সূর্যের আলো ঠিকঠাক ঢোকেনা তাই স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বেশ ঠান্ডা অনুভব করলাম। একটু আঁধারী পথে চললেও চারিদিকে রোডোডেনড্রনএর রঙ্গের বাহার বেশ উপভোগ করছিলাম। কিছুটা চড়াই ভেঙে আর কিছুটা তুলনামূলক সোজা রাস্তা অতিক্রম করে একটা বিশাল বুগিয়াল মানে গারওয়ালি ভাষায় গবাদি পশুর চারণভূমি এর সামনে এসে পড়লাম। বুগিয়ালটা যেন একটা সবুজ গালিচাপাতা বিশাল বড় মাঠ যেটা অনেক দূরে কোথাও গিয়ে খাদে পড়েছে আর এখানে দাঁড়িয়ে আমরা দূরের লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা  বরফে ঠাসা শৃঙ্গ গুলোকে এক ফ্রেমে বন্দি করলাম। কিছুক্ষন ওখানেই বিশ্রাম আর ফটোসেশন করে আবার রওনা দিলাম।

বুগিয়াল


     যতই উপরে উঠছি গাছপালা কমে আসছে আর বাতাসে অক্সিজেনের ঘাটতি দিব্যি টের পাচ্ছি। এবার পথের পাশে কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বরফ জমা পেলাম। আরো কিছুটা ওঠার পর উপরের পাহাড় যখন কিছুটা আমাদের সামনে দৃশ্যমান হলো তখন দেখলাম পুরো পাহারটাই একটা বরফের চাদরে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছে। প্রায় আধঘন্টা আরো চলার পর একটা অস্থায়ী দোকান খোলা পেলাম, যেখানে একটু বিশ্রাম করে , চা আর নুডলস খেয়ে নিজেদের বরফ ভেঙে চড়াই পার করার জন্য তৈরি করে নিলাম। প্রখর রোদে বরফের স্তরের ওপরের কিছু অংশ গলতে শুরু করেছিল তাই জুতোয় গ্রিপ পাওয়া খুব শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাস্তা পুরোপুরি বরফে ঢাকা ছিল। আমরা খুব সন্তর্পণে পুরু বরফের স্তরে পা গেথে আর ট্রেকপোলে ভর দিয়ে খাদের উল্টো দিক ধরে এগোতে থাকলাম।

মন্দিরের পথে


 এই ভাবে চলতে চলতে হঠাৎ একটা ট্রেকগ্রুপের চিৎকারে উপরপানে চাইতেই প্রথম দর্শন পেলাম পৃথিবীর উচ্চতম শিব মন্দিরের আর এখান থেকে সেটা কেমন দেখাচ্ছিল তার বর্ণনা শুরুতেই দিয়েছি। ঠিক কত ফুট বরফ ছিল সেটা জানিনা তবে মন্দিরের কিছুটা আগে একজন স্থানীয় ভাইকে বেলচা দিয়ে বরফ খুঁড়তে দেখতেপেলাম এবং তাকে এইরূপ আচরণের কারন সুধালে সে বলল  যে তার দোকান ওই বরফ স্তুপের নীচে চাপা পড়ে আছে। বরফের সমুদ্র পেরিয়ে মন্দির চত্বরে যখন প্রবেশ করলাম হিমেল হওয়া, নির্জনতা আর চারপাশের নৈসর্গিক দৃশ্যে মোহিত হয়ে গেলাম। মন্দির বিগ্রহহীন আর অর্ধেকটা বরফে ঢাকা। প্রতি বছর মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে মন্দির খোলে, এবং প্রায় দেওয়ালি পর্যন্ত এখানেই বাবার পূজো হয়, দেওয়ালির পর মন্দিরের কপাট বন্ধ হয় এবং তখন ডুলি করে বিগ্রহ নামানো হয় মুক্কামঠ গ্রামে, যা হলো বাবার শীতকালীন আবাসস্থল। মন্দির বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভীড় একদমই নেই। নির্জন মন্দিরের চাতালে বসে, স্নিগ্ধ হিমেল হওয়ার স্পর্শে চারপাশের বরফে ঢাকা পর্বতরাজি দেখতে দেখতে কিভাবে যে সময় কাটলো বুঝতেই পারলাম না।

তুঙ্গনাথ মন্দির


     যখন হুঁশ ফিরলো দেখলাম আবহাওয়া পুরো পাল্টে গেছে। আকাশটা পুরো কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছিল , দূরের রেঞ্জটা তখন বেশ আবছা লাগছিলো, ওদিকটায় বেশ বৃষ্টি শুরু হয়েগিয়েছিলো। একটা ট্রেকগ্রুপের গাইডের থেকে জানতে পারলাম, যে পরিমান বরফ ডিঙিয়ে আমরা মন্দিরে পৌঁছেছি তার দেরগুন বরফ চন্দ্রশীলা যাওয়ার পথে রয়েছে। আগের দিনের ওই খারাপ আবহাওয়ার অভিজ্ঞতা আর সিংহভাগ ট্রেকারস দের চোপতার দিকে ফিরতে দেখে আর চন্দ্রশীলা অভিযানের সাহস পেলাম না। যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা চোপতায় নেমে এলাম এবং গাড়ি নিয়ে উখিমঠে ফিরলাম এবং রাতটা সেখানেই কাটলো। এবার ফেরার পালা আর প্রতিবারের মতো এবারও পাহাড় থেকে যখন সমতলে নামলাম মনটা যথারীতি খারাপ হয়েগেল পেছন ফিরে ক্রমশ ছোট হতে থাকা পাহাড় গুলোকে দেখে মনে মনে বললাম কেউ ঠিকই বলেছিল, "The land north of Gangadwar is known to the wise as Paradise Ground. Apart from this land, the rest is called Earth elsewhere."


আবার আসবো ফিরে...



কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য :

  • কিভাবে যাবেন? 

হরিদ্বার এবং জলিগ্রান্ট (দেরাদুন) হলোযথাক্রমে  তুঙ্গনাথ তথা গারোয়াল হিমালয়ের নিকটবর্তী রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দর। এছাড়াও হরিদ্বার, সড়ক পথে দিল্লি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরের সাথে যুক্ত। হরিদ্বার বা ঋষিকেশ থেকে সরাসরি চোপতা যাওয়ার বাস খুব কম, এক্ষেত্রে বসে করে কুন্ড বা উখিমঠ এসে ওখান থেকে শেয়ার গাড়ি করে চোপতা পৌঁছনো যায়। তবে গারওয়ালে বাসের ভরসা না করে গাড়ি ভাড়া করে নেওয়াই ভালো।

  • কখন যাবেন?

মোটামুটি বছরের সবসময়ই তুঙ্গনাথ যাওয়া যায়, তবে রোডোডেনড্রোন দেখতে হলে আসতে হবে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের শুরুতে। মন্দির খোলা থাকে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে দিওয়ালি পর্যন্ত।

  • কোথায় থাকবেন?

হরিদ্বার ও গারোয়াল জুড়ে প্রচুর হোটেল ও ধর্মশালা রয়েছে সুতরাং থাকা খাওয়ার কোনো অসুবিধে হবেনা। তবে আমার মতে পারলে তুঙ্গনাথে একদিন থাকুন আর ভোররাতে ওখান থেকে চন্দ্রাশিলা গিয়ে সূর্যোদয় উপভোগ করুন। তুঙ্গনাথে থাকার জন্য আছে বাবা কালি কামলির ধর্মশালা যার কলকাতা অফিসের নম্বর 033-22318181।

  • কত খরচ পড়বে?

কলকাতা থেকে দুদিকের এসি থ্রী টিয়েরে যাতায়াত করে , ঋষিকেশ টু হরিদ্বার ড্রপ চুক্তিতে চার দিনের জন্য গাড়ি ভাড়া করে এবং বাজেট হোটেলে থেকে আমাদের (চার জনের) মাথা পিছু খরচ হয়রছিলো প্রায় ₹ 15,000/- করে।

  • মনে রাখবেন :

  1. যে সময়েই যান না কেন উপযুক্ত শীতের পোশাক সাথে রাখবেন।
  2. যদিও এটা সহজ ট্রেক , তবুও উচ্চতা জনিত সাবধানতা অবলম্বন করবেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সাথে রাখবেন। শরীর খারাপ লাগলে সেই মুহূর্তে নীচে নেমে আসবেন, এতে লজ্জার কিছু নেই।
  3. সব শেষে আমার একান্ত অনুরোধ ,পাহাড় কে নিজের ঘরের মতো পরিচ্ছন্ন রাখবেন, যত্র তত্ৰ আবর্জনা বিশেষ করে প্লাস্টিক ফেলবেননা ও ফেলতে দেবেননা।
TREK TO TUNGANATH AND DEORIA TAAL IN BENGALI TREK TO TUNGANATH AND DEORIA TAAL IN BENGALI Reviewed by AMIT KUMAR DEBNATH on September 19, 2019 Rating: 5

7 comments:

  1. ভালো লাগলো পড়ে ৷ অতীতে ফিরে গিয়েছিলাম কিছুক্ষনের জন্য ৷ তবে দেবপ্রয়াগের স্বচ্ছধারার নদীটি বোধহয় অলকানন্দা হবে ৷ ধুসর জলধারাটি ভাগীরথির ৷ যাইহোক পুরো ভ্রমণকাহিনীটি উপভোগ্য নিঃসন্দেহে ৷

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওখানে কোনটা কোন নদী এই নিয়ে আমার ও একটু দ্বন্দ্ব আছে। কিছু জায়গায় আমি পড়েছি স্বচ্ছ জল অলকনন্দা আবার কিছু জায়গায় ওটাকে বলেছে ভাগীরথী। আমাদের গারওয়ালি ড্রাইভার ভাইটি বলেছেন স্বচ্ছ জলের ধারাটি ভাগীরথী। তাই আমিও ওই মেনেই ভাগীরথী বলেই লিখলাম। কিন্তু আপনি যদি নিশ্চিত হন অবশ্যই একবার জানাবেন। ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য। ব্লগটির সাথে যুক্ত থাকবেন এবং এইভাবেই উৎসাহ দিয়ে যাবেন যাতে আরো ভালো ভালো লেখা প্রকাশ করতে পারি।

      Delete
  2. খুব ভালো লাগলো

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ। ব্লগটির সাথে যুক্ত থাকুন এরম আরো পোস্ট এর জন্য। ভালো লাগলে পোস্টগুলিকে শেয়ার করুন।

      Delete
  3. Buy a free $25 titanium hoop earrings today
    Our titanium hair clipper custom designed rings are crafted using acrylic, laser cut everquest: titanium edition and iron from titanium. We ford escape titanium for sale will titanium dive watch also tungsten titanium be customising our own unique earrings, $25.00 · ‎In stock

    ReplyDelete

Powered by Blogger.